The Last Page
July 29, 2020
আমাদের প্রেম সীমাবদ্ধ ছিল ক্রিমসন কাপে, স্পর্শহীন, বাংলাভাষায়, সামনাসামনি দূরত্বে।
গল্পটা শুরু হয়েছিল শেষ পৃষ্ঠা থেকে। সবকিছু হচ্ছিল স্পয়লার পেয়ে যাওয়া মুভির মতো, ইরিনা আর আমি ধর্মে বিশ্বাস না করলেও সমাজে বিশ্বাস করতাম। সমাজ মানবেনা, তাই শেষটা জানতাম।
শেষ পৃষ্ঠার ৩ পৃষ্ঠা আগের দিকে, ইরিনা কাঁদত, কাঁদলে বুঝতাম, ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দেখে। আড়াই বছর ধরে একটা মানুষের সাথে রেগুলার চ্যাট করলে ম্যাসেজগুলো শব্দ হয়ে কানে আসে। ওদিকে এক মিলিলিটার জল অপচয় হলে, তাতে যে ছয় মিলিগ্রাম সোডিয়াম ক্লোরাইড আছে, সেটি আমার বুঝতে কষ্ট হতোনা। আমাদের প্রেম সীমাবদ্ধ ছিল ম্যাসেঞ্জারে, স্পর্শহীন, সিংগাপুরে রাখা এক অচেনা কোন ডাটা সেন্টারে অথচ আত্মায় এবং আত্মায়।
শেষ পৃষ্ঠার প্রথম লাইনে আমি বলেছিলাম, ” এই তবে শেষ দেখা ইরিনা?”, দ্বিতীয় লাইনে ইরিনা পঁচিশ মিনিট চুপ ছিল। আমি দেখছিলাম ইরিনাকে, বড়ো বড়ো চোখে অনেক অনেক কথা জমে আছে - কিছুই বলছেনা। যখন বলল, তখন আমরা আমাদের প্রেমের গল্প শেষ করলাম, এইবার ভালবাসার গল্প শুরু। এইদেশে না, প্যারিসে। ধর্ম অবিশ্বাস করলে ধর্ম বদলানো যায়না, সমাজ অবিশ্বাস করলে সমাজ বদলানো যায়।
আমরা মেঘের মত একা, তবে এইটা আমরা, আমি আর ইরিনা - আমাদের প্রেম সীমাবদ্ধ থাকলেও ভালবাসা থাকেনি।