রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপ
October 25, 2020
আচ্ছা, সাদিয়াকে খুন করে ফেলাটা হয়ত একটু বেশী হয়ে গেছে, কিন্তু বিয়ের প্রথম দিন থেকে আমাকে যে চিট করে আসছিল, এইটাও তো কম না।
আধা ঘণ্টা ওয়েটিং রুমে বসে এইসবই ভাবছিলাম, “সাব্বির সাহেব! আসুন…”, ডাক শুনে হুশ ফিরে পেলাম। আধা অন্ধকার রুমটার ভেতরে ঢুকতেই গা ছম ছম করল - গভীর রাতে সাদিয়ার লাশ মাটিতে পুতে ফেলতে যেমন ভয় লাগছিল অমন।
” So.. আপনি আপনার ওয়াইফ কে খুন করেছেন, এবং এখন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে চান?”
“হ্যাঁ, প্রথমে ইন্ডিয়া - তারপর সেখান থেকে জার্মানি, পসিবল?”
“১৫ লক্ষ টাকা চার্জ - যে দেশে যেতে চান সে দেশেই যেতে পারবেন।”
“আমার কিন্তু ব্যপারটা একটু আর্জেন্ট। পুলিশ অলরেডি আমাকে সন্দেহ করছে।”
লোকটি মৃদু হেসে বলল, আপনাকে আজই দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি, আগে টাকা টা দেন।
আমি ১৫ লক্ষ টাকা দিলাম তাকে, আমার জমানো সবটুকু টাকা এই রকম একজন দালাল শ্রেণীর লোকের কাছে তুলে দিতে হবে কখনো কল্পনাও করিনি। ভেগে না গেলে হয় এইবার।
লোকটা তার টেবিলের নিচে থেকে একটা মিষ্টির প্যাকেট বের করে বলল, “congratulations Mr Sabbir! মিষ্টিটা খান, আমি এখনি ব্যবস্থা শুরু করছি।”
আমি একটা মিষ্টি মুখে দিলাম, একদমই মিষ্টি না, মুখে দিতেই ঘুম পাচ্ছে… চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, সবকিছু কেমন ঝাপসা দেখতে পাচ্ছি। এইটা কি তবে আমার ১৫ লাখ টাকা মেরে দেয়ার ধান্দা? কি মিশিয়েছে… আমি মরিয়া হয়ে বললাম, “ভাই আমাকে ইন্ডিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিবেন না?”
লোকটা নির্লিপ্ত ভাবে হাসল, একটা আয়না আমার দিকে ধরে বলল, “ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”
আমি বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম আয়নাটার দিকে, আমি নেই, একটা বাদুর বসে আছে … তার বিস্ফোরিত চোখ আয়নার দিকে।